Image description

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ও বাচামারা ইউনিয়নের যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় অসময়ের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে স্কুল, মাদ্রাসা, বাজার, সরকারি স্থাপনা ও বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে। কৃষকের শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এই বিপর্যয় রোধে শুক্রবার দুপুরে বাঘুটিয়া বাজার এলাকায় যমুনার তীরে স্থানীয় জনগণ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।

কৃষক দলের নেতা সেলিম মিঞার সঞ্চালনায় ও সাবেক যুবদল নেতা কামরুল হাসান বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু। স্থানীয় নারী-পুরুষসহ নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য মানুষ এতে অংশ নেন।

স্থানীয়রা জানান, যমুনা নদীতে অপরিকল্পিত ও অবৈধ মাটি-বালু উত্তোলনের কারণে এই ভাঙন তীব্র হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কাটার মেশিন ও বাল্গেট দিয়ে অবৈধভাবে বালু কাটা হতো, যা এখনো অব্যাহত। এতে ফসলি জমি, বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে হারাচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন, “যমুনার অব্যাহত ভাঙনে বাঘুটিয়া ও বাচামারার বহু পরিবার নিঃস্ব। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরও বালু দস্যুতা বন্ধ হয়নি। আমাদের দলের কিছু দুর্বৃত্ত এতে জড়িত। বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার অনুরোধ জানাচ্ছি।” তিনি প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, “ইজারার বাইরে কাটার মেশিন ও বাল্গেট দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ব।”

তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জিও-ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। অন্যান্য বক্তারাও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

কর্মসূচিতে শিবালয় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মহিদুর রহমান, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান মাষ্টারসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।