Image description

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস গুরুদয়াল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রক্টরিয়াল বডির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রেজিস্ট্রার নাইলা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির পর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা থাকায় ক্যাম্পাসে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে, মূল ফটক বন্ধ থাকবে এবং যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। এই ঘোষণার পরই শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উপাচার্যের কার্যালয়, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের অনুমতি পেলেও প্রশাসন প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ করছে না। একইসঙ্গে গুরুদয়াল কলেজে একাডেমিক কার্যক্রমের কোনো চুক্তি না থাকায় তাদের মনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রমজান জানান, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাবসহ নানা সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তারা এই আন্দোলনে নেমেছেন।

কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নাইলা ইয়াসমিন শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তনের কারণে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। তবে চলতি বছরের জুন মাসে তারা প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছেন এবং পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মতে, জমি অধিগ্রহণ শেষ হতে ছয় মাসের মতো সময় লাগতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপ কুমার বড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করে বলেন, “আমরাও চাই দ্রুত এখান থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে। আশা করি, ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।” তিনি জানান, স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জেলা সদরের বৌলাই ইউনিয়নে ১০৩ একর জমি বন্দোবস্তের আবেদন করা হয়েছে। বর্তমানে ইংরেজি, গণিত, হিসাববিজ্ঞান ও কম্পিউটার সায়েন্স—এই চারটি বিভাগে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।