গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম বাবরের ভাড়া বাসা থেকে একটি দেশি পাইপগান ও একটি গুলি উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জ পৌরসভার থানাপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। তবে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে যৌথ বাহিনীর একটি দল কে এম বাবরের বাসায় তল্লাশি চালায়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাসার একটি বাথরুমের ফ্লাশারের ভেতর থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে কে এম বাবর, যিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন, মুঠোফোনে বলেন যে এটি তাকে ফাঁসানোর জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একটি ষড়যন্ত্র। তিনি জানান, তার বাসায় কোনো ধরনের অস্ত্র থাকে না এবং তিনি সেনাবাহিনীর কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের অনুরোধ করেছেন। তিনি আরও বলেন, “আমার জনপ্রিয়তা দেখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। যারা এ তথ্য দিয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে বোঝা যাবে আসল ঘটনা।”

গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন এবং এটি প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে ধারণা করছেন। 

তিনি বলেন, “কে এম বাবরের বাসার বাথরুম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশি একটি পাইপগান ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসাতে এমনটি করতে পারে বা অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।”