
ঢাকার খামারবাড়িতে শুক্রবার 'জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন' আয়োজনের প্রস্তুতি থাকলেও 'পুলিশি বাধার কারণে' তা করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আয়োজকরা। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তবে পুলিশ বলছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নেওয়ায় তাদের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, মহানগর এলাকায় এ ধরনের আয়োজনের জন্য পুলিশ কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়, যা আয়োজকরা নেননি। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, 'বিশৃঙ্খলার আশঙ্কার' পাশাপাশি পুলিশের পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় 'স্বল্প সময়ের' মধ্যে অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরও জানান, এ ধরনের আয়োজনের জন্য কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে আবেদন জমা দিতে হয়। তিনি অভিযোগ করেন, আয়োজকরা হলরুম ভাড়ার কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি।
'সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের' ব্যানারে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজকদের একজন সুব্রত বল্লভ বলেন, তারা সম্মেলনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এবং বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার বরাবর অনুমতির আবেদনও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি এবং যারা ভেতরে ঢুকেছিল তাদেরও বের করে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী সারা দেশ থেকে এসেছিলেন, কিন্তু তারা ফিরে যেতে বাধ্য হন।
আয়োজকদের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, 'একটা ইনডোর প্রোগ্রাম!!! শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে বাঁধা...। বাংলাদেশে তো যা সংখ্যালঘু হামলা হয়, সবটাই রাজনৈতিক। তাহলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্মেলন কে এতো ভয় পাওয়ার কি আছে??' তারা আরও বলেন, '৫৪ বছরের ইতিহাসের সাম্প্রদায়িক হামলার প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে, তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের এতো ভয় কেনো??'
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই ইসকন পরিচালিত চট্টগ্রামের মন্দির পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রক্ষচারী আট দফা দাবি নিয়ে কথা বলে আসছিলেন। গত বছর তাকে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি তখন থেকেই কারাগারে রয়েছেন। তার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিক্ষোভও হয়েছিল। চিন্ময় দাশের বিরুদ্ধে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার অভিযোগেও একটি মামলা রয়েছে।
Comments