Image description

গাজা দখল করা হবে কি না, তা ইসরায়েলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা দখলের কোনো পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করবে না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আপাতত যুক্তরাষ্ট্র গাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থার দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে এবং এর বাইরে সবকিছু ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করছে।

ট্রাম্প জানান, এই কাজে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে খাদ্য বিতরণ ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করবে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েল এরই মধ্যে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটি এখনো সে অর্থ সহায়তার কথা স্বীকার করেনি। কারণ, এমন পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয় নাও হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, "আরব রাষ্ট্রগুলোও আমাদের সহায়তা করবে—অর্থ এবং সম্ভবত বিতরণ ব্যবস্থাতেও।" আট দিন আগে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নতুন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করবে। হোয়াইট হাউজ থেকেও তখন বলা হয়েছিল, গাজায় ত্রাণ বিতরণের একটি নতুন পরিকল্পনা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। তবে এখনো সে পরিকল্পনার বাস্তব রূপ দেখা যায়নি।

বর্তমানে গাজায় জোর করে বাস্তুচ্যুতির আদেশ দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে উপত্যকাটি ছোট ছোট এলাকায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। গাজার ৮৬ শতাংশ ভূখণ্ড এখন সামরিক নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পরিণত হয়েছে। বাকি অংশে সামরিক অভিযান আরও বাড়ানো হলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জীবন আরও বিপদের মুখে পড়তে পারে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে ব্যাপকহারে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।