Image description

নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মচারী লাঞ্চনার ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মচারীরা। বুধবার সকাল থেকে (১০ সেপ্টেম্বর) নীলফামারী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কর্মচারী পরিবারের ব্যানারে এই কর্মবিরতি শুরু হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন, ডোমার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী আব্দুন নুর, সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী জয়নুল আবেদীন, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী হায়দার আলী, জলঢাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসের মেজবা উল হক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী আবু তালেব।

অভিযোগ করা হয় দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত সুমি আক্তার কল্পনার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে জেলা শিক্ষা অফিস। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছির সাথে সু-সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় অফিসের সকল কাজে হস্তক্ষেপ করছে সুমি।

ডোমার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী আব্দুন নুর বলেন, মঙ্গলবার সকালে(৯ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ে প্রদানের জন্য স্পিকার নিতে জেলা অফিস আসি। এখানে আসার পর কর্মচারী সুমি আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। বহিরাগত কিছু মানুষকে এনে শারীরীক ভাবে লাঞ্চিত করে আমাদের অফিসের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

জলঢাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসের মেজবা উল হক বলেন, জেলা অফিসকে পারিবারিক অফিস বানানোর চেষ্টা করছেন সুমি। অস্থায়ী কর্মচারী হয়েও অফিসকে শেষ করার চেষ্টা করছেন। তার স্বামীকে সুমি ডিভোর্স দিয়ে তার ভাইকে নিয়োগ দিয়েছে এছাড়াও ঝাড়ুদারকে বের করে দিয়ে তার ছোট বোনকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছেন। অফিসে রাজত্ব কায়েম করার জন্য বহিরাগতদের এনে রেখেছেন অফিসের স্থায়ী কর্মচারীদের শাসন করার জন্য।

কর্মবিরতি পালন করা কর্মচারীরা বলছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ভেতরে টিনের চালার ঘর বানিয়ে সেখানে সুমি, বোন, মা ও তার ভাই বসবাস করেন। বাড়িতে ব্যবহার করা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয় শিক্ষা অফিস থেকে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী আবু তালেব বলেন, আমরা নিজেকে অনিরাপদ মনে করে কর্মবিরতি শুরু করেছি কারণ এই সুমি হুমকি দিয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন অভিযোগ আনবে। আমাদের সম্মান রয়েছে। যদি দ্রুত সুমিকে অপসারণ এবং অফিসের ভেতরে থাকা বাসা উচ্ছেদ করা না হয় তাহলে এই আন্দোলন চলতে থাকবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমি আক্তার জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা ছড়ানো হচ্ছে। অফিসের কর্মচারীরা দুর্নীতিতে জড়িত। আমি প্রতিবাদ করায় আমার নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। উল্টো তারাই আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য আজকে (বুধবার) বসার কথা ছিলো কিন্তু কর্মচারীরা কর্মসুচিতে গেছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, গতকাল ৩৫২টি বিদ্যালয়ে সাউন্ড সিস্টেম বিতরণের কথা ছিলো কিন্তু পরিস্থিতির কারণে বিতরণ করা যায়নি।