Image description

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আউরিয়া গ্রামে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার অপমান সইতে না পেরে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী নামে এক কলেজশিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

ঐশী ওই গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী মো. জাহিদ হোসেনের মেয়ে। তিনি এ বছর অকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাস আগে ঐশীর বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু তার টপস ও টিশার্ট পরিহিত কিছু ছবি মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পাত্রপক্ষের কাছে পৌঁছলে তারা বিয়ে ভেঙে দেয়। এই ঘটনায় অপমানিত বোধ করে ঐশী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

ঐশীর বাবা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, “ছবি কে বা কারা পাঠিয়েছে জানি না। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির পর ছেলেপক্ষ বিয়ে ভেঙে দেয়। আমার মেয়ে এটা সহ্য করতে পারেনি। সন্ধ্যার আগে স্থানীয় দোকান থেকে এমবি কার্ড কিনে বাসায় এসে ফোনে কারও সঙ্গে কান্নাকাটি করেছিল। তারপর সে গলায় ফাঁস দিয়েছে।”

নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক লিমা আক্তার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ঐশীর মৃত্যু হয়। পুলিশ মরদেহ থানায় নিয়ে যায়। নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার বলেন, “এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। রোববার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।”