Image description

অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানেও কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এক রাতের টানা বৃষ্টিতেই পানির নিচে তলিয়ে গেল ফেনী শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। অনেক সড়কে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে গেছে। এদিকে খুলনায় টানা বৃষ্টিতে ডুবেছে সড়ক-নিম্নাঞ্চল। 

কক্সবাজারে বন্যার পানি নামছে, বাড়ছে দুর্ভোগ। ভারি বৃষ্টির কারণে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে আছে উজানের পানির প্রবাহ। বড় নদ-নদীগুলোর পানি বাড়লেও এখনো তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই থেকে পাঁচ দিন এসব নদীর পানি বাড়তে পারে। 

তবে তাতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সূত্র। ভারি বৃষ্টির কারণে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে আছে উজানের পানির প্রবাহ। বড় নদ-নদীগুলোর পানি বাড়লেও এখনো তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু বন্যার আশঙ্কা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। 

গত বছর বন্যার কথা স্মরণ করে আতঙ্কিত প্রহর পার করছে। ওই বছরের বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কারণে দুর্গম এলাকায় আটকে পড়েছিল অজস  মানুষ। ঘরের চালের ওপরে বসে ত্রাণের আশায় কোথাও বা অনাহারে-অর্ধাহারে প্রহর গুনছে মানুষ। এবারেও বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি এবং সীমান্ত নদীতে পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

শঙ্কায় দিন কাটছে মানুষের। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল, দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। উজানের পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আশঙ্কা, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে দেশের অনেক জেলায় বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। এক্ষেত্রে লক্ষণীয়, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে চলমান বন্যা আশঙ্কা আরও বাড়লে সংকট বৃদ্ধি পাবে। 

বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ, দুর্যোগকে এড়ানোর কোনো উপায় নেই। কিন্তু এ কথা ঠিক যে, যথাযথ প্রস্তুতি ও উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। ফলে, যখন এমনটি জানা যাচ্ছে যে, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বন্যার আশঙ্কা বাড়তে পারে। 

বড় কোনো বিপদের পূর্বেই সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নেয়ার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে উদ্যোগী হতে হবে। সামগ্রিকভাবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক পদক্ষেপ অপরিহার্য বলেই প্রতীয়মান হয়। বন্যা ভয়াবহ রূপ নিলে তা কতটা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করতে পারে সেটি এড়ানোর সুযোগ নেই। ফলে সৃষ্ট আশঙ্কাকে সামনে রেখে যথাযথ প্রস্তুতি জরুরি। রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও বিত্তবানদের সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবেÑ তবেই ক্ষতির পরিমাণটা কমানো সম্ভব হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।