
আড়াই মাস আগে ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত ওবায়দুল হোসেনের (৪০) মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে বিজিবি ও বিএসএফের টানা তৎপরতার পর মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
নিহত ওবায়দুল মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে।
৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সি ইমদাদুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৭ এপ্রিল ভারতের ৫৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন মহেশপুর ব্যাটালিয়নকে (৫৮ বিজিবি) সীমান্তের মেইন পিলার ৪৮-এর কাছে ভারতের মধুপুর এলাকায় একটি অজ্ঞাত মরদেহ পাওয়ার কথা জানায়। পরদিন ২৮ এপ্রিল ওবায়দুলের বাবা হানেফ আলী বিজিবির কাছে আবেদন করে জানান, পাওয়া মরদেহটি তার নিখোঁজ ছেলের।
সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টার পর ৯ জুলাই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মরদেহ হস্তান্তরে সম্মত হয়। এরপর শনিবার বিকেলে সীমান্ত পিলার ৪৭/৪-এস-এর কাছে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা মরদেহটি শূন্যরেখায় নিয়ে আসে। সেখানেই ওবায়দুলের বাবা ও সৎমা তার পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন।
মহেশপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান জানান, বিজিবির দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ওবায়দুলের মরদেহ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
Comments