Image description

ধীরগতির শহর ঢাকায় আশীর্বাদ হয়ে এসেছে আধুনিক গণপরিবহন মেট্রোরেল। এতে স্বল্প সময়ে যানজট এড়িয়ে অফিসসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন উত্তরা, মিরপুর ও মতিঝিলগামী যাত্রীরা। এতে মেট্রোরেল তাদের কাছে হয়ে ওঠেছে অপরিহার্য ও নিরাপদ বাহন। তবে মেট্রোরেলের এ সুবিধা পুরো ঢাকাবাসী পেতে চান বলে দাবি অন্য রুটের যাত্রীদের।

রামপুরা এলাকায় বসবাস করেন মোহাইমিনুল হক। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার আফসোস, কেন নিজের এলাকায় এমন একটা মেট্রো নেই। মোহাইমিনুল বলেন, মেট্রোরেল ঢাকার জন্য আশীর্বাদ। আমি রামপুরা থাকলেও মেট্রোতে করে অফিসের কাজে যাতায়াত করেছি। এত দারুণ একটা পরিবহন ব্যবস্থা। কবে যে আমার এলাকায় মেট্রোরেল আসবে সেই অপেক্ষায় আছি।
বাড্ডা লিংক রোডে থাকেন সোহান; পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর সুবাদে মাঝেমাঝেই মেট্রোতে চড়া হয় তার। বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতেও যান উত্তরা দিয়াবাড়ি। সোহান বলেন, আমি মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী না হয়েও এমআরটি পাস করেছি। মাঝে মাঝে এমনিতেই বন্ধুরা মিলে মেট্রোতে করে উত্তরা যাই। এত অল্প সময়ে উত্তরা যাওয়াটা আগে কল্পনাও করতে পারতাম না। পুরো ঢাকা শহরকে মেট্রোরেলের আওতায় নিয়ে এলে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। মানুষের সময়ও বাঁচবে।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, এমআরটি লাইন-৬-এর কাজ শুরুতে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও পরে তা কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশ নির্মাণের মাধ্যমে মেট্রোরেলের এ প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা। এছাড়া, প্রকল্পের জন্য আরও ৪টি রুট প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এমআরটি লাইন-১, ২, ৪ ও ৫।

মেট্রোরেল প্রকল্পের অধীন ঢাকাবাসীর জন্য এমআরটি লাইন-১ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। এমআরটি লাইন-১, দুটি ভিন্ন রুটে নির্মিত হবে। ‘এয়ারপোর্ট রেল লিংক’ লাইনটি কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত যাবে, এ রুটটিতে ভূগর্ভস্থ স্টেশনও থাকবে। এ লাইনের দ্বিতীয় রুটটি বারিধারা থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত যাবে, যা ‘পূর্বাচল রুট’ নামে পরিচিত হবে। এমআরটি লাইন-১-এর দুটি রুটই ২০২৬ সালে নির্মাণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমআরটি লাইন-৪ কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত যাবে। এর নির্মাণকাজ ২০৩০ সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমআরটি লাইন-২ গাবতলী থেকে চিটাগং রোড  পর্যন্ত চলবে। ২০৩০ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে, কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে ঢাকার যানজট নিরসনে আরও কয়েকটি মেট্রোরেলপথ তৈরির কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশ যত উন্নত হচ্ছে, মানুষের কাজকর্ম তত বাড়ছে। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে। তাই রাজধানীবাসীর যাতায়াতের জন্য আরও কয়েকটি মেট্রোরেলপথ নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে কিছু উপর দিয়ে যাবে, আবার কিছু পাতাল দিয়ে যাবে।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় আরও তিনটি মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। সব লাইন যখন চালু হবে, তখন রাজধানীবাসী এ প্রকল্পের সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবে। ধারণা করা হয়েছিল, মেট্রোরেল হলে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার হার কমে আসবে। বাস্তবেও এর প্রমাণ মেলে।

মিরপুর থেকে মতিঝিলে নিয়মিত অফিস করেন মাইদুল হক। তিনি বলেন, মিরপুর-১১ থেকে বাসে চড়ে অফিসে যাওয়া রীতিমতো অসম্ভব ব্যাপারে পরিণত হয়েছিল। তীব্র যানজট আর প্রচণ্ড ভিড়ে দমবন্ধ হয়ে আসতো। ভেবেছিলাম একটি মোটরসাইকেল কিনব। কিন্তু মেট্রোরেলে চড়ে গাড়ি কেনার চিন্তা বাদ দিলাম। ভিড় থাকলেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না আমার। এভাবে যেতে পারলে টাকা খরচ করে মোটরসাইকেল কেনা আমার জন্য অপচয় হবে।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, প্রত্যেকেই অপেক্ষা করছেন মেট্রোরেলের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পেতে। তখন অনেকেই বাস এবং প্রাইভেটকারের বদলে মেট্রোতে চলাচল করবেন। এয়ারপোর্টের কাওলা থেকে মতিঝিলে নিয়মিত অফিস করেন সাইদুর রহমান। তিনি মেট্রোরেলের সময় আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, মেট্রোরেল থাকায় অল্প সময়ে মতিঝিলে যেতে পারি। কিন্তু রাত ১০টার পর অফিস শেষ হওয়ায় বাসায় ফিরতে মেট্রোরেলের সুবিধা নিতে পারি না। বাধ্য হয়ে বাসেই যেতে হয়।

নাগরিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে এত বড় প্রকল্প তৈরি করা হলো; কিন্তু সেটি সামগ্রিক হলো না। অফিসে আসতে সময় লাগে ১৫ মিনিট, বাসায় যেতে লাগে দেড়-দুই ঘণ্টা।’ তাই মেট্রোরেল রাত ১১ থেকে ১২টা পর্যন্ত চালু রাখা উচিত বলে মনে করেন সাইদুর।

ফয়সাল আহমেদের অফিস কারওয়ান বাজার। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে রোস্টার ডিউটি করতে হয়। যে কারণে সপ্তাহে ৩-৪ দিনই অফিস শেষ হয় রাত ১১টার পর। ওই সময় মেট্রোরেলের সার্ভিস বন্ধ থাকায় বাস কিংবা অন্য কোনো পরিবহনে উত্তরার বাসায় ফেরেন তিনি।

ফয়সাল বলেন, এই যানজটের শহরে মেট্রোরেল চালুর পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। আগে অফিসে আসা-যাওয়ার পথে প্রায় ২-৩ ঘণ্টা চলে যেত। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় এত সময় লাগছে না। তবে এর পুরোপুরি সুফল এখনও পাচ্ছি না। অফিসে আসতে পারলেও বাসায় যেতে পারি না। যাত্রীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে মেট্রোরেলের সময় বাড়ানো প্রয়োজন।

বর্তমানে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৬টি স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে ওঠানামা করতে পারছেন যাত্রীরা। অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পেরে স্বস্তিবোধ করলেও সময় না বাড়ায় ফেরার যাত্রায় স্বস্তি পাচ্ছেন না তারা। যাত্রীদের দাবি, মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ানো হোক।

এ বিষয়ে কথা হয় ডিএমটিসিএল মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইফতেখার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে। এ পরিকল্পনা আমাদের আছে। আমরা কেবল শুরু করেছি। সবকিছু ঠিকঠাক করে তারপর এগোতে হবে। কিন্তু কবে নাগাদ এটা করতে পারব, তা আসলে বলা সম্ভব নয়। এমনকি সপ্তাহে সাতদিনই মেট্রোরেল চলাচল করবে। ওই পর্যায়ে যেতে আরেকটু সময় লাগবে। পৃথিবীর সব মেট্রোরেল এভাবেই শুরু হয়।

এদিকে, মেট্রোরেলের স্বস্তি নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান অনেক যাত্রী। আর কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিদিনের যাতায়াতে মেট্রো স্টেশন ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা দিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সুবিধা। এ বিষয়ে কথা হয় ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করা যাত্রী ইকবাল খন্দকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ। এত দ্রুত সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যায় বলে এই পরিবহনে কখনোই যাত্রী কমবে না।

আমিরুল বিশ্বাস নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, গুলিস্তানে যাওয়ার জন্য উত্তরা থেকে মেট্রোতে উঠেছি। সচিবালয় স্টেশনে নেমে তারপর গন্তব্যে যাব। কিছুদূর হেঁটে যেতে হবে। কিন্তু তাতেও বাসের থেকে অনেক আগেই চলে যেতে পারব। এত স্বস্তিদায়ক যাত্রা আগে কোনো পরিবহনে আমি করিনি। খুব সহজেই যানজট ছাড়া যেতে পারছি।

এদিকে, ভিড় থাকা সত্ত্বেও অনেকে গাদাগাদির মধ্যেই উঠে পড়ছেন। ফারুক মিয়া নামের ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি বলেন, এখানে বাসের মতো ভিড় থাকলেও সমস্যা হচ্ছে না। হুটহাট ব্রেক করার ঝামেলা নেই। কোনো রকম দাঁড়াতে পারলেই চলে যাওয়া যাচ্ছে। মনে হচ্ছে মাটির ওপর দাঁড়িয়ে আছি।

মিরপুর-১০ নম্বর থেকে আসা তারেক কাজী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাসের সময়টা ছিল অজানা। সকাল ৮টায় বাসে উঠলে ঠিক কটায় শাহবাগ নামতে পারব, সেটির কোনো নির্ধারিত সময় ছিল না। অনেক সময় দুটি ক্লাসও মিস হয়ে গেছে। এখন মেট্রোরেলে চড়ে ১০ মিনিটে শাহবাগ পৌঁছে যাই।

মেট্রোরেলের সুফল বিষয়ে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের যাতায়াতে মেট্রো স্টেশন ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা দিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সুবিধা। ডিজিবক্সের পর এটিএম বুথ বসেছে স্টেশনে। পর্যায়ক্রমে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি ব্যাংক যুক্ত হবে এ তালিকায়। যাত্রী সুবিধায় বসানো হবে ছোট ছোট দোকান। আর শিগগিরই ফার্মগেট আর কারওয়ানবাজারে স্টেশন প্লাজা ভাড়া দেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হবে।

পুরোদমে ঢাকায় মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হলে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। পাশাপাশি মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা গতিশীল হবে এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
মেট্রোরেলের আরও যেসব প্রকল্প চলমান: এদিকে, মেট্রোরেল উত্তরা-মতিঝিল (এমআরটি লাইন-৬) লাইনটি মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এছাড়া লাইনটি উত্তরা থেকে রাজধানীর উপকণ্ঠ আশুলিয়া পর্যন্তও সম্প্রসারিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমানে প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ করছে ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কারণে মেট্রো পরিষেবা আশুলিয়া পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়। বিকল্প হিসেবে রুটটিকে ছোট করে টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তারা।

একই ঘটনা ঘটেছে বিমানবন্দর-কমলাপুরের (এমআরটি লাইন-১) মধ্যে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পেও। সরকারের সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, এ মেট্রোলাইন চালু হওয়ার কথা ২০২৬ সালে। এরপর লাইনটি সম্প্রসারণ করা হবে গাজীপুর পর্যন্ত। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের মধ্যে গড়ে ওঠা বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের কারণে এ পরিকল্পনা নিয়েও তৈরি হয়েছে বড় ধরনের সংশয়।

এমআরটি লাইন-৬ ও এমআরটি লাইন-১ ছাড়াও ঢাকায় আরও চারটি মেট্রোরেল লাইন তৈরি করবে ডিএমটিসিএল, যার মধ্যে হেমায়েতপুর-ভাটারা মেট্রোর (এমআরটি লাইন-৫, নর্দান রুট) কাজ শুরু হয়েছে। এটি ঢাকার পূর্ব-পশ্চিম অংশের মধ্যে হবে। বাকি তিন মেট্রোর (এমআরটি লাইন-২, এমআরটি লাইন-৪ ও এমআরটি লাইন-৫, সাউদার্ন রুট) গতিপথও ঢাকার পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ প্রান্তকেন্দ্রিক। অর্থাৎ ভবিষ্যতে ঢাকার পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণে মেট্রোরেল সম্প্রসারণের সুযোগ থাকলেও আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্পের কারণে উত্তর অংশে সম্প্রসারণের তেমন সুযোগ নেই বলে মনে করছেন ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, এমআরটি-৬ আশুলিয়া পর্যন্ত সম্প্রসারণের কথা ছিল। কিন্তু আশুলিয়ায় আরেকটি প্রকল্প হচ্ছে, যার কারণে ওইদিকে এখন যাওয়া যাচ্ছে না। এখানে একটা বাধার মতো সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য আমরা উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রুট অ্যালাইনমেন্টে যাব। এ রুট অ্যালাইনমেন্টে প্রায় পাঁচ লাখ যাত্রী আছে। এ পাঁচ লাখ যাত্রীর সুবিধা করে দেয়ার জন্য আমরা এ পরিকল্পনা করছি।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস