Image description

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের এখতিয়ার নেই অন্য দলকে নিষিদ্ধ করার রায় দেওয়ার। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই অধিকার কেবল বিচার বিভাগ বা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) থাকতে পারে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি ও বিএনপির অবস্থান

‘আওয়ামী লীগের দোসর’ হিসেবে অভিযুক্ত করে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করে তাবিথ আউয়াল বলেন, “আমরা জনগণের পক্ষে আছি, বিএনপির পক্ষে আছি। কাউকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান খুবই স্পষ্ট। প্রশ্ন হলো, কোন প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করা হচ্ছে? বিচারব্যবস্থার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে কি না? এবং এর উদ্দেশ্য কী?”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি বিশ্বাস করে, একটি রাজনৈতিক দলের অধিকার নেই অন্য দলকে নিষিদ্ধ করার। তারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিযোগী। আমি কীভাবে তাদের ওপর রায় দেব? এই অধিকার বিচার বিভাগের বা নির্বাচন কমিশনের থাকতে পারে।”

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্ত নয়

তাবিথ আউয়াল ফ্যাসিবাদ বিরোধী অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নিজেরা ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। ভুল সবসময় ভুল, এটি কখনো সঠিক হতে পারে না।” তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেন, কোনো দল নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া অবশ্যই বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হতে হবে।

রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও গণতন্ত্র

তাবিথ আউয়ালের মতে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, তবে এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু এটি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে, কোনো দলের একক সিদ্ধান্তে নয়।”

রাজনৈতিক আলোচনায় প্রভাব

তাবিথ আউয়ালের এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির এই স্পষ্ট অবস্থান অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধকরণের দাবির প্রেক্ষাপটে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার গুরুত্ব আরও উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরেছে। এটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন বিতর্ক ও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।