নেপালে সাম্প্রতিক জেন জি আন্দোলনে নিহতদের পরিবার এক কঠোর অবস্থান নিয়েছে। শহীদ ঘোষণা, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন এবং আরও কিছু দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের প্রিয়জনদের মরদেহ গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে।

তাদের অন্যতম প্রধান দাবি হলো, নিহতদের পরিবারকে সচিব পর্যায়ের পেনশন সুবিধা দিতে হবে। নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সরকারি বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা এই ঘোষণা দেন।

কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্দোলন ও সহিংস বিক্ষোভে নিহতদের স্বজন ও আহতরা একটি সংগ্রাম কমিটি গঠন করেছেন। রোববার তারা বালুওয়াটারে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের অপেক্ষায় ছিলেন।

নিহত এক তরুণের স্বজন কমল সুবেদী বলেন, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের মৌখিকভাবে একটি সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু রোববার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

পরিবারগুলোর অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে-

৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভে নিহতদের শহীদ ঘোষণা করতে হবে।

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাদের দাফন সম্পন্ন করতে হবে।

শেষকৃত্যের মিছিল রিং রোড প্রদক্ষিণ করবে।

এছাড়া, তারা শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা নয়, বরং নিহতদের আত্মত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতির জন্য সচিব পর্যায়ের সমপরিমাণ পেনশন সুবিধা দাবি করছেন। নেপালের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কার্কি দায়িত্ব গ্রহণের পর নিহত প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারগুলো মনে করে, এই ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট নয় এবং আরও বিস্তৃত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।