Image description

জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সব পক্ষকে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছানোর তাগিদ দিয়েছেন, যেন ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরাচারী শাসন ফিরে আসতে না পারে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে নতুন কিছু প্রস্তাব দিয়েছে।

বিএনপি: দলটি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। তবে, তাদের প্রস্তাব হলো, সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়া হোক। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, 'আমরা এমন কোনো পদ্ধতি চাই না, যা আইনের ক্ষমতার বাইরে প্রতিষ্ঠিত হয়।' তার মতে, সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিলে সনদটি 'প্রশ্নাতীতভাবে' বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তারা আশাবাদী।

জামায়াতে ইসলামী: দলটি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ মনে করেন, এই সনদকে 'সংবিধান আদেশ ২০২৫' নামে জারি করলে ভবিষ্যতে কেউ এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি): এনসিপি বলছে, সাংবিধানিক বিষয়গুলোর সমাধানের জন্য একটি গণপরিষদ গঠন করা যেতে পারে। দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ৮৪টি পয়েন্টের মধ্যে ৪৩টি সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত, এবং গণপরিষদের মাধ্যমে এগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই ঐকমত্য কমিশন বিশ্বে একটি নজির স্থাপন করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'যদি সবাই ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচন হবে মহাউৎসবের, নবজন্ম হবে।' তিনি সবাইকে একমত হওয়ার আহ্বান জানান, কারণ সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হলো স্বৈরাচারী শাসন ফিরিয়ে আনার সব পথ বন্ধ করে দেওয়া।

এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে আশ্বস্ত করেন।