Image description

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পের কারিগররা। মাটি, খড় আর হাতের ছোঁয়ায় দেবী দুর্গার প্রতিমা গড়ে তোলার কাজ চলছে জোরকদমে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে দুর্গোৎসব ঘিরে চলছে নানা আয়োজন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কারিগররা প্রতিমা তৈরির কাজে নিবিড়ভাবে নিয়োজিত। মাটি দিয়ে দেবী দুর্গা, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর প্রতিমার কাঠামো তৈরির কাজ চলছে। দুর্গোৎসবের প্রধান আকর্ষণ এই প্রতিমা তৈরির কাজ এখন পূর্ণ গতিতে এগোচ্ছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু হবে। মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠি পূজার মাধ্যমে। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এ বছরের শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

মোকামতলায় দুর্গা প্রতিমা তৈরির কারিগর সুজয় মালাকার বলেন, “খড়, সুতলি, পেরেক, বাঁশ ও কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমা তৈরির খরচ গত বছরের তুলনায় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বেড়েছে। এখন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকায় প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে।”

মোকামতলা মন্দির কমিটির সভাপতি শুভ্র শংকর প্রসাদ, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা ও কাজল সাহা জানান, “মোকামতলায় উপজেলার সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ও ব্যয়বহুল পূজা অনুষ্ঠিত হয়। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে এ বছর পূজার ব্যয়ভারও বেড়েছে।”

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু সুবির দত্ত জানান, গত বছর উপজেলায় ৫৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ বছর ৫৭টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় তিনটি বেশি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, “পূজার সময় মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন। শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।”