Image description

নেপালের কাঠমান্ডুতে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের বাইরে জেনারেশন জেড (জেন জি) বিক্ষোভকারীদের দুটি গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন নেতা নির্বাচনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার চলমান আলোচনার সময় বাইরে এই সংঘাত হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, বৃহস্পতিবার আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নেতা নির্বাচনের জন্য পুনরায় আলোচনা শুরু করে সেনাবাহিনী। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব কে দেবেন–তা নিয়ে নেপাল সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের বাইরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীদের কয়েকটি অংশ।

বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে সমর্থন করছে। অন্য একটি দল তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করে এবং নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রধান কুলমান ঘিসিংকে প্রস্তাব করে। তারা যুক্তি দেয়, কার্কিকে নিয়োগ করলে অচলাবস্থা আরও বাড়বে, কারণ সংবিধান অনুযায়ী সাবেক বিচারপতিরা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না।

বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ বিবৃতিতে বলছে, ‘বালেন্দ্র শাহ আগ্রহ দেখাননি, সুশীলা কার্কি অযোগ্য ও ৭০ বছরের বেশি বয়সী। তাই সর্বজনপ্রিয় দেশপ্রেমিক কুলমান ঘিসিংকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের ভেতরে আলোচনা চলছে। সেখানে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌদেল, সেনাবাহিনীর প্রধান অশোক রাজ সিগডেল এবং জি জেনারেশন প্রতিনিধিরা অচলাবস্থা ভাঙার চেষ্টা করেন।

সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো, বর্তমান অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে বের করা এবং একই সময়ে দেশে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা।’