
এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্ট-সমর্থিত সংশপ্তক পর্ষদ। ছাত্রদলের ভোট বর্জনের মধ্যেই বাম সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এলো।
বৃহস্পতিবার সংশপ্তক পর্ষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ন্যক্কারজনক ভূমিকা ও ছাত্র শিবিরকে ভোট জালিয়াতিতে সহযোগিতার প্রতিবাদে জাকসু বর্জন করা হলো।
ভোট বর্জনের পেছনে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে, সেগুলো হলো—
১. ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের জাল ভোটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে। ভোট দেওয়ার জায়গায় পূরণকৃত ব্যালট পাওয়া গেছে।
২. শহীদ সালাম-বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ব্যালট পেপার গেছে ৪০০টি।
৩. ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত করা হয়নি। যে–কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণও মিলেছে।
৪. প্রতিটি হলেই বিভিন্ন সংগঠনের বহিরাগতদের অবস্থান দেখা গেছে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছে।
৬. এছাড়াও অন্যান্য অভিযোগ আমরা দেখতে পেয়েছি। এমতাবস্থায় সংশপ্তক পর্ষদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আমরা জাকসুতে অংশগ্রহণকারী সকল প্যানেল ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাই—আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে এই অনিয়মের প্রশাসন ও ছাত্র শিবিরের ভোট ডাকাতির চক্রান্তকে সকলে একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করি।”
এর আগে, অনিয়মের অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোট চলাকালীন সময়েই এ ঘোষণা আসে।
ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ফজিলাতুন্নেছা হলের ফ্লোরে ব্যালট পড়ে ছিল। আরও কয়েকটি হল থেকেও আমাদের পোলিং এজেন্টরা একই পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে। শিবিরের এজেন্টরা সব ভোটকেন্দ্রে ঢোকার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু আমাদের পোলিং এজেন্টরা ঢোকার আগেই ভোট শুরু হয়ে যায়। এটা তো স্পষ্ট-এখানে কারচুপি হয়েছে। একটি নির্বাচনে এ রকম হতে পারে না। এই ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আমরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলাম।’
Comments