Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানকে ঘিরে গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই আবিদের জনপ্রিয়তা ও তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

জুলাই আন্দোলনের সময় আলোচনায় আসা আবিদকে নিয়ে গাজীপুরের এক নেটিজেন লিখেছেন— আবিদ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতেন, তাহলে অনেক বেশি ভোট পেতেন। পাশও করার সম্ভাবনা ছিল।

অন্যরা মনে করেন, ছাত্রদলের ব্যানারে দাঁড়ানোর কারণে তিনি নিজের প্রাপ্য জনপ্রিয়তাও হারিয়েছেন।

গাজীপুরের আরও কয়েকজন নেটিজেন সমালোচনা করে মন্তব্য করেছেন— এই ব্যর্থতার দায় শুধু আবিদের নয়, দায় তাদেরও যারা আন্দোলনের সহযাত্রীদের বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীদের দিয়ে দল চালাচ্ছে।

তাদের মতে, বিএনপির ভেতরে সাংগঠনিক দুর্বলতা, অতিরিক্ত ভারতপ্রীতি এবং বিভাজনমূলক রাজনীতি দলের ভেতরে হতাশা তৈরি করেছে।

তবে আবিদের সমর্থকরা বলছেন, ডাকসু নির্বাচনে জয়ী না হলেও তার রাজনৈতিক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা অক্ষুণ্ন রয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি আরও বড় ভূমিকা রাখবেন বলেও তাদের আশা।

প্রসঙ্গত, আজ (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত ফলে ভিপি পদে শিবির সমর্থিত সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৫৮ ভোট।

দীর্ঘ ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন, যার মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।