চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গুপ্তছড়া ফেরিঘাটে ফেরি কপোতাক্ষ আটকে পড়ায় ১৭০ জন যাত্রী ও ৪০টির বেশি যানবাহন চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে গুপ্তছড়া থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ফেরিটি যাত্রা শুরুর মাত্র পাঁচ মিনিট পর ভাটার প্রবল স্রোতে আটকে পড়ে।

ফেরিতে আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে চারজন ডেলিভারি রোগীও ছিলেন, যাদের অবস্থা দীর্ঘ সময় আটকে থাকার কারণে আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। এছাড়া অন্যান্য যাত্রী, চালক ও সহযোগীরাও তীব্র ভোগান্তির শিকার হন।

যাত্রী রিয়াদ বলেন, “সন্দ্বীপ ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ার পর আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম যে দীর্ঘদিনের নৌযান দুর্ভোগ দূর হবে। কিন্তু এখনো আমরা সেই দুর্ভোগের মধ্যেই আছি। একটু ভাটার স্রোতেই ফেরি আটকে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।”

ফেরির মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, “চ্যানেলে পলি জমে নাব্যতা হ্রাস পাওয়া এখন ফেরি চলাচলের সবচেয়ে বড় সমস্যা। ড্রেজিং ছাড়া এর বিকল্প নেই। দ্রুত ড্রেজিং না হলে এ ধরনের সমস্যা নিয়মিত হবে।”

স্থানীয় প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে ফেরি পুনরায় সচল করতে কত সময় লাগবে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তারা। বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, “ড্রেজিংয়ের জন্য একজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে, কিন্তু ঘাটে তাদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। তাদের অবহেলায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং যাত্রী ও যানবাহন চরম দুর্ভোগে পড়ছে।”

স্থানীয়রা জানান, সন্দ্বীপের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের নৌ-যোগাযোগ উন্নত করতে দ্রুত ও কার্যকর ড্রেজিং ব্যবস্থা প্রয়োজন। অন্যথায় এমন ভোগান্তি বারবার ঘটবে এবং সন্দ্বীপবাসীর আশা-ভরসা ক্ষীণ হয়ে পড়বে।