ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ফোনে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ, ‘অতিরঞ্জিত’ বলছে ছাত্রদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রচারণা তুঙ্গে। প্রার্থীদের সমর্থনে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি ও ফোনে ভোট চাইছেন। তবে, ফোনে চাপ প্রয়োগ ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ছাত্রদল এসব অভিযোগকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে দাবি করেছে।
‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ অভিযোগ করেন, “ছাত্রদল সমর্থিত নেতারা আমাদের নারী প্রার্থী ফাতেমা তাসনিম জুমার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে হুমকি দিয়েছেন। তাকে সরকারি চাকরি না পাওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে।”
শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন জানান, কিশোরগঞ্জের স্থানীয় বিএনপি নেতারা তার মায়ের কাছে ছাত্রদলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের জন্য ভোট চেয়েছেন। তবে তিনি এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন, বলেন, “ডাকসু নির্বাচন এখন শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।”
অন্যদিকে, ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী নিয়ন মনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “স্থানীয় বিএনপি নেতা আমাকে ফোন করে ছাত্রদলের প্যানেলে ভোট দিতে চাপ দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ভোটের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত। এভাবে চাপ প্রয়োগ গ্রহণযোগ্যতা কমায়।”
খুলনার রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি ইমতিয়াজ আলী সুজনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি শিক্ষার্থী চৈতীর বাড়িতে গিয়ে ছাত্রদলের আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের জন্য ভোট চাইছেন।
ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম ফেসবুকে লিখেছেন, “শিক্ষার্থীদের ফোন দিয়ে ভোট চেয়ে বিব্রত করবেন না। বিরোধীরা এটিকে কাজে লাগাতে পারে। আপনাদের দোয়া ও সমর্থনই আমাদের শক্তি।”
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, “এ ধরনের কোনো নির্দেশনা কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়নি। অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত। খুলনার ঘটনা ব্যক্তিগত উদ্যোগ, কেন্দ্রীয় নির্দেশ নয়।”
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার ৩৯,৬৩৯ জন, ভোটকেন্দ্র ৮টি এবং বুথ ৭১০টি।
Comments