Image description

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদকে জড়ানোর অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ ও ‘বড় ধরনের স্পর্ধা’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী এবং এ ধরনের সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাশেদ খাঁন অভিযোগ করেন, সরকার ও জাতীয় পার্টি এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে আন্দোলনের গতিপথ ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

রাশেদ খাঁন বলেন, “জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। শাহবাগে আমাদের শান্তিপূর্ণ সংহতি সমাবেশে ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। এই সমাবেশ সফলভাবে শেষ হওয়ার পর কারা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে, তা আমরা জানি না। তবে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ ঘটনার সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ বা সমাবেশে অংশগ্রহণকারী কোনো দল জড়িত নয়।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনেই জাতীয় পার্টির নেতারা মিছিল করেছে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি এটিকে সরকার ও প্রশাসনের একাংশের ‘নীরব মদদ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। রাশেদ খাঁন জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টিও একই ধরনের অপরাধে জড়িত। তাই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।”

জিএম কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “জিএম কাদের প্রকাশ্যে বলেছেন, ভারতের অনুমতি ছাড়া তিনি কিছু বলতে পারেন না। এটি প্রমাণ করে তিনি ভারতের অনুগত। বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে কে বিরোধী দল হবে, কোনো বহিরাগত শক্তি নয়।”

রাশেদ খাঁন জোর দিয়ে বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে থাকবে। জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমও চলবে না।”