ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজধানীতে জশনে জুলুশ শোভাযাত্রা ও শান্তি সমাবেশ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার সভাপতি ও বিএসপি চেয়ারম্যান শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর নেতৃত্বে লাখো নবীপ্রেমী সুফিবাদী জনতার অংশগ্রহণে জাঁকজমকপূর্ণ জশনে জুলুশ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম গেট থেকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রা দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন, ও কদম ফোয়ারা সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পশ্চিম গেটে এসে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়। ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হন। এবার ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)-এর ১৫০০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা কালেমা খচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও বিশাল জাতীয় পতাকা বহন করেন। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে লেখা ছিল ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা’। নারায়ে তাকবির ও নারায়ে রিসালতের স্লোগানে মুখরিত হয় রাজধানীর রাস্তাঘাট। অংশগ্রহণকারীদের সাদা টি-শার্ট ও সাদা ক্যাপে সজ্জিত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শোভাযাত্রা শেষে শান্তি সমাবেশে নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়।
শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, “মহানবী (দ.) সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণকর সমাজ গড়া সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “রাসূলুল্লাহ (দ.) আমাদের সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার শিক্ষা দিয়েছেন। বর্তমানে পৃথিবীতে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সন্ত্রাসের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো প্রিয় নবীর শিক্ষা বাস্তবায়ন।”
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, “ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)-এর পবিত্র বার্তা হৃদয়ে ধারণ করে ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তা প্রয়োগ করলে সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার আলো ছড়িয়ে পড়বে।”
Comments