
এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় অনৈতিক সুবিধা প্রদানের অভিযোগে এক এসআইসহ ১১ জন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) জারি করা এক অফিস আদেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বরখাস্তকৃতরা হলেন এসআই আবুল কাশেম, কনস্টেবল মনিরুজ্জামান, মো. কবির হোসেন, ইমরান, নির্জন খান, শামীম আলম, মো. রনি হোসেন, শরীফুল ইসলাম, তানভির রহমান, মো. আবু সাইদ মিয়া ও রবীন্দ্র দাস।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কেউ ভুল করলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
অফিস আদেশে বলা হয়, ১২ আগস্ট ২০২৫ তারিখে মতিউর রহমানকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির করার জন্য স্কর্ট দল রওনা হয়। ফেরত আসার পথে দুপুরে যাত্রাবিরতির সময় হাজতিকে আলাদা কক্ষে খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়, যা স্কর্ট ডিউটির শৃঙ্খলার পরিপন্থী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, এ সময় উৎকোচ গ্রহণের শর্তে হাজতিকে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়।
বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে স্কর্ট ইনচার্জ ও ফোর্সের দায়িত্বে শৈথিল্য ও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল ১৯৪৩-এর প্রবিধান ৮৮০ অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্তকালীন এই পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে পুলিশ লাইন্সে নিয়মিত রোলকল ও পিটি, প্যারেডে অংশ নেবেন এবং বিধি মোতাবেক বেতন ও ভাতা পাবেন।
Comments