Image description

আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের শাসনামলে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট মো. মেহেদী হাসান ও তার পরিবার। তিনি জানিয়েছেন, এই সময়ে তাদের ঘরে শান্তিতে থাকতে দেওয়া হয়নি, স্ত্রী-সন্তানদের হুমকি ও গালিগালাজের মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং তিনি নিজেও পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

মেহেদী হাসান বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমার পরিবারকে শান্তিতে বাঁচতে দেয়নি। শতাধিক মামলা ও নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপির জন্য কাজ করে গেছি।” তিনি জানান, তার ভাই মো. মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগের নির্দেশে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে খুঁজে বেড়ায় সন্ত্রাসীরা। পরিবারের পুরুষদের পালিয়ে থাকতে হলেও মহিলারা হুমকির মুখে পড়েন।

তার আরেক ভাই, এশিয়ান টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ শরিফ ইসলাম, বিএনপি বিট কাভার করায় রাস্তাঘাটে হেনস্তার শিকার হন। মেহেদী বলেন, “দোষ ছিল শুধু বিএনপি করা।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের পাশে থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা রাজপথে ছিলাম, বুক পেতে স্লোগান দিয়েছি। আমরা জুলাই বিক্রি করতে চাই না, দেশের জন্য কাজ করেছি।”

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে ৪১০ কোটি টাকার সম্পত্তির প্রস্তাব দিয়ে তাদের লোকজনকে হেমায়েতপুরে ফিরিয়ে আনতে বলেছিল। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “আপনারা খুনি। সাভারে অসহায় মানুষকে গুলি করেছেন। আমরা আপনাদের কালো ছায়া পড়তে দেব না।”

মেহেদী হাসান আরও বলেন, “আজ আমাদেরই আওয়ামী লীগার বলে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। অথচ আমাদের কারণে হেমায়েতপুরে আওয়ামী লীগ সক্রিয় হতে পারছে না।” তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের আমলে যারা আরামে ছিল, তারাই এখন ষড়যন্ত্র করছে।

সাক্ষাৎকার শেষে তিনি সবাইকে বিদ্বেষ ভুলে আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।