Image description

গত দুই দিনে ধরে মানবকণ্ঠ সংবাদ প্রচারের পর টনক নড়েছে সড়ক ও জনপথে। বুধবার সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ভাটিয়ারী এলাকায় মহাসড়কের খানাখন্দ গর্তে সংস্কার করতে দেখা গেছে। এখই ভাবে বাড়বকান্ড এলাকায় কিছু বড় বড় খানা খন্দ গর্তে গুলো সংস্কার করতে দেখা যায়।  
  
জানা যায়, বর্ষায় টানা কয়েক দিনের এ বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডে অংশে বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। মহাসড়কে উঠে যাওয়া বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং এক মাসেও সংস্কার করেননি সওজ। ফলে যানবাহন চলাচলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। মহাসড়কের চারলেনের সড়ক কয়েকটি স্থানে দেবে গেছে। ফলে যান চলাচল করতে গিয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট সোমবার সকালে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদামবিবির হাট কনফিডেন্স সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর সামনে ঢাকামূখী লেনে একটি পন্যবাহী ট্রাকের চাকা খানা-খন্দ পড়ে গিলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কে উল্টে যায়। ফলে ঢাকা মূখী যানচলাচল বিঘ্ন হয়। ট্রাকে থাকা প্রায় বিশ লক্ষ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।

১৯ আগস্ট মাদামবিবিরহাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের তুলাবোঝাই একটি ট্রাক চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে সামনের চাকা খুলে মহাসড়কের ওপর উল্টে যায়। ১১ ঘণ্টায়ও এটি না সরানোয় মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে অন্তত ১২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রচুর গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কের বিভিন্ন বাহনে চলাচল করা যাত্রীরা।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকামুখী লেনে ট্রাকটি সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উল্টে যায়। মঙ্গলবার বেলা দুইটা পর্যন্ত ওই ট্রাক সরানো যায়নি। এটি সরানোর জন্য তাদের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। তারা ট্রাকটির মালিকপক্ষকে দ্রুত সময়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডে বিভিন্ন অংশ ভেঙে খানা-খন্দ গর্তে পরিণত হয়েছে। উপজেলাধীন ভাটিয়ারী, সোনাইছড়ি, কুমিরা, বাঁশবাড়ীয়া, বাড়বকুন্ড, পৌরসদর কিছু কিছু পয়েন্টে এসব গর্ত এতটাই বড় হয়ে উঠেছে যে যা গাড়িচালক ও যাত্রীদের আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

গাড়িচালক ও যাত্রীরা জানান, এসব জায়গায় নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। পণ্যবাহী ভারি যানবাহনসহ যাত্রীবাহী গাড়ি এসব গর্তে পড়ে বিকল হয়ে থাকছে। এ কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খালা খন্দ গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় গাড়িচালক ও যাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যা পোঁহাতে হচ্ছে। বিশেষত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে আশা বড় বড় কন্টিনিয়া,লরি এ বহনকৃত মালামাল বহনকালে গাড়ি এসব গর্তে পড়লে সামলানো মুশকিল হয়ে যায়, পক্ষান্তরে ভেঙ্গে যার গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। সেক্ষেত্রে অনেক চালক গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দুর্ঘটনাকবলিত হন। এছাড়া গর্তে পড়লে চাকা পাংচার, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভেঙে যাবার মত ঘটনাও ঘটে।

বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল মমিন বলেন, মহাসড়কের সীতাকুন্ডে অংশে বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানা-খন্দ গর্তে হয়েছে। প্রতিদিন যানবাহন গুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে যায়, যানজটের সৃষ্টি হয়। আর খানা-খন্দ সংস্কারের বিষয় হচ্ছে এইটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজ । তারা না করলে আমার কিছু করার নেই। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সীতাকুন্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ফারহান বলেন, মহাসড়কে বিভিন্ন অংশ ভেঙে খানা-খন্দ গর্তে হয়েছে, আমরা প্রতিদিন সংস্কার করে যাচ্ছি। মহাসড়কে এখন থানা-খন্দ নাই বলে তিনি দায় সাড়া ভাবে বক্তব্য দিয়েছিলেন।