মানবকণ্ঠের সংবাদে জাগ্রত প্রশাসন, নবীনগরে বালু উত্তোলনে ২ লাখ টাকা জরিমানা

মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে দৈনিক মানবকণ্ঠের অনলাইন সংস্করণে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। গত ১৪ আগস্ট “নবীনগরে অস্ত্রের মহড়ায় অবৈধ বালু ব্যবসা, ভাঙনের মুখে ফসলি জমি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের জেরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) জনস্বার্থে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নাসিরাবাদ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।
অভিযানে চুক্তিপত্রের বাইরে একটি অতিরিক্ত ড্রেজার চালু অবস্থায় পাওয়া যায়। ড্রেজারটি সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ইজারাগ্রহীতাকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ বিন মনসুর, সঙ্গে ছিলেন নবীনগর থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ ও আনসার বাহিনী।
গত ১৪ আগস্ট মানবকণ্ঠ অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদনে বলা হয়, নাসিরাবাদ বালুমহাল ২০২৫ সালের জন্য ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় মেসার্স সামিউল ট্রেডার্সের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইজারাদার সরকারি নিয়ম না মেনে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এই ব্যবসার সঙ্গে শতাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা-কর্মী জড়িত। ‘স্বর্ণ প্রাসাদ’ নামে পরিচিত এই বালুমহাল সশস্ত্র প্রহরীদের নিয়ন্ত্রণে, যেখানে প্রতিবাদকারীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এতে চরলাপাং, মানিকনগর, সাহেবনগরসহ আশপাশের গ্রামে ফসলি জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে। নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভাঙন ও বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ ড্রেজার চললেও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। সংবাদ ও লিগ্যাল নোটিশের পর এই অভিযান স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
Comments