
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই দেশে ধর্ষণের ঘটনা গত বছরের মোট সংখ্যার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। একই সময়ে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণ, বাল্যবিবাহ এবং যৌতুকের জন্য নির্যাতনের সংখ্যাও গত বছরকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নারী ও কন্যা নির্যাতন: ২০২৪ সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আনোয়ারা বেগম মুনিরা খান মিলনায়তনে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
১৪টি জাতীয় দৈনিকের খবরের ভিত্তিতে তৈরি করা এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মোট ১,৫৫৫টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৩৬৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২২০ জন কন্যাশিশু। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪৮ জন। এই পরিসংখ্যান গত বছরের মোট নির্যাতনের সংখ্যার (২,৯৩৭টি) তুলনায় ছয় মাসেই প্রায় অর্ধেক।
সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে যে, ১৮ বছরের কম বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের অধিকাংশই ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ। বারবার একই অপরাধীর অপরাধে জড়ানোর প্রবণতাও লক্ষ্য করা গেছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম এই পরিস্থিতিকে নারী ও শিশু নির্যাতনের ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতা বৃদ্ধি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি নারীবিদ্বেষী সংস্কৃতি দূর করতে সামাজিক আন্দোলন এবং গণমাধ্যমকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
Comments