Image description

নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রাঙ্গণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা নিয়ে শুনানির সময় বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার অনুসারীদের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বিএনপির ‘আগ্রাসী ও গুণ্ডাতন্ত্রী মনোভাব’ সংস্কার না করলে ‘বড় প্রতিরোধের’ মুখে পড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রোববার দুপুরে নির্বাচন ভবনে শুনানির সময় তর্ক-বিতর্কের জেরে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এনসিপি অভিযোগ করেছে, রুমিন ফারহানার উপস্থিতিতে তাদের সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ, প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী ও মুস্তফা সুমন আহত হয়েছেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ গুণ্ডাতন্ত্র চায় না। বিএনপির গুণ্ডা মনোভাব সংস্কার না হলে বড় প্রতিরোধের মুখে পড়বে। নির্বাচন কমিশন পার্টির অফিসে পরিণত হয়েছে। পুলিশ আমাদের বাধা দেয়, কিন্তু বিএনপির নেতাদের ফ্রি এক্সিট দেয়।”

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন পার্টির অফিস হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে ঢুকতে পুলিশ এনসিপির নেতাকর্মীদের বাধা দেয়, অপরদিকে বিএনপির নেতাদের ফ্রি এক্সিট দেয়। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপেক্ষা করছে।

এসময় তিনি বলেন, বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক হচ্ছেন রুমিন ফারহানা। রুমিন ফারহানা ও ফজলুর রহমানের কর্মকাণ্ডগুলো বিএনপির হাই-কমান্ডের নির্দেশনাতেই হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি।

রুমিন ফারহানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “একজন অপরিচিত ব্যক্তি আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন। আমার লোকজন স্বাভাবিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এনসিপি বহিরাগতদের নিয়ে এসেছিল, তারা ধাক্কা দিয়েছে।”

এনসিপির প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী দাবি করেন, “রুমিন ফারহানার লোকজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনে আমাদের মারধর করেছে।” ঘটনার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। ইসির নিরাপত্তা কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।