Image description

উত্তরাঞ্চলের স্বপ্নের মাওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধনের কয়েকদিনের মধ্যেই ফের অন্ধকারে নিমজ্জিত। এবার চুরি হয়েছে সেতুর রিফ্লেক্টর লাইট, যদিও ঠিক কতগুলো লাইট চুরি হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। এর আগে, উদ্বোধনের মাত্র একদিন পর ৩১০ মিটার বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন এই চুরির ঘটনা সেতুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

চুরির ঘটনা ও প্রতিক্রিয়া
রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে রিফ্লেক্টর লাইট চুরির বিষয়টি জানতে চাইলে গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, “লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।” এর আগে, সেতুর ৩১০ মিটার বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেতুর সিকিউরিটি ইনচার্জ নুর আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন, যেখানে চুরি যাওয়া তারের মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়।

নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা
৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভাসানী সেতুতে ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করলেও, সন্ধ্যা নামলেই সেতু ও এর সংযোগ সড়ক অন্ধকারে ঢেকে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দারা এই দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করছেন।

চলমান পদক্ষেপ
বৈদ্যুতিক তার চুরির পর নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে, রিফ্লেক্টর লাইট চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার বা চুরি যাওয়া লাইট উদ্ধারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।