Image description

রাজধানীর সবজির বাজারে বর্তমানে আগুন লেগেছে, যেখানে ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ কাঁচাবাজারের এই অস্বাভাবিক দামে দিশেহারা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন অনেক বেশি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা ১০০-১২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০-৯০ টাকা, পটল ৮০-৯০ টাকা, বরবটি ১০০-১২০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ২৪০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, বেগুন ১৪০-১৫০ টাকা এবং টমেটো ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা, আড়তদার এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে দাম বাড়ার কয়েকটি প্রধান কারণ জানা গেছে:

১. প্রাকৃতিক দুর্যোগ: প্রতি বছর জুলাই ও আগস্ট মাসে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে সরবরাহ কমে যায় এবং দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটি দাম বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ।

২. পরিবহন খরচ ও চাঁদাবাজি: বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন যে, বর্ষার কারণে মহাসড়কের খারাপ অবস্থা এবং বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির কারণে সবজি পরিবহনের খরচ বেড়েছে। গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কিছু সময়ের জন্য চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট বন্ধ ছিল, তখন দাম কিছুটা কমেছিল, কিন্তু এখন তা আবার বেড়েছে।

৩. সরবরাহ সংকট: বর্তমানে বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কম। ফলে নতুন সবজি না আসা পর্যন্ত এই সংকট চলতেই থাকবে।

৪. মধ্যস্বত্বভোগী: কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সবজি কয়েক দফা হাতবদল হওয়ার কারণে দাম বেড়ে যায়। পাইকারি বাজারে যে দামে সবজি বিক্রি হয়, খুচরা পর্যায়ে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়।

ক্রেতারা জানান, মাছ, মাংস ও মুরগির দাম বেশি থাকলে তারা সবজির ওপর নির্ভর করতেন, কিন্তু এখন সবজির দামও নাগালের বাইরে চলে গেছে। ক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এখন শুধু পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া ছাড়া আর কিছু কেনা সম্ভব হচ্ছে না।”