খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলা নিয়ে উত্তেজনা; ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতভর চলা এই উত্তেজনার জেরে রোববার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকালে শহিদ মীর মুগ্ধ আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালীন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ও আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে শান্ত হলেও সন্ধ্যায় দ্রুত বাইক চালানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়।
আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মারুফ বিল্লাহ (২১-২২ সেশন) আরবান অ্যান্ড রুরাল প্ল্যানিং (ইউআরপি) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন লিমনকে (২০-২১ সেশন) ধীরে বাইক চালানোর অনুরোধ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, লিমন মারুফের গায়ে হাত তুললে আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে লিমনের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনা ক্যাম্পাসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় জুনিয়র ও সিনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ
রাত ১২টার দিকে ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, রাত ১টার দিকে দুই গ্রুপ থেকে দুটি মিছিল উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয় এবং একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, “খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস। এই ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। জড়িতদের তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।”
শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় উপাচার্য রোববার সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ড. নাজমুস সাদাত বলেন, “দুই গ্রুপের উত্তেজনার কারণে আজ ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ সভা করছে, এবং সভা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।”
Comments