Image description

বগুড়া জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাছেদ বলেছেন, "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করলে একটি ভোটও নষ্ট হবে না, একটি ভোটও পরাজিত হবে না। আমরা একটি আসন ভিত্তিক নির্বাচন করি, যেখানে চারজন প্রার্থী থাকলে একজন নির্বাচিত হয়ে তিনজন পরাজিত হয়। পরাজিত তিন জনের ভোট যদি একত্র করা হয়, তাহলে বিজয়ী ভোটের দ্বিগুণ বা তিনগুণ পরিমাণ ভোট বাইরে থেকে যায়। এই ভোটগুলো নষ্ট হয়ে যায়।"

মাওলানা আব্দুল বাছেদ বলেন, "আমরা বলেছি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। তাহলে জাতীয়ভাবে ভোট গণনা হবে। যে দল যত (%) পার্সেন্ট ভোট পাবে, সেই দল জাতীয় সংসদের ততগুলো আসন পাবে। সুতরাং এর মধ্য দিয়ে কোনো দল ১% ভোট পেলেও সেই দল জাতীয় সংসদের তিনটি আসন পাবে। ১০% ভোট পেলে ঐ দল জাতীয় সংসদের ৩০টি আসন পাবে। যদি ২০% ভোট পায় তাহলে ৬০টি আসন পাবে। তারমানে ১% ভোটও নষ্ট হলো না। এই পদ্ধতির নাম পিআর পদ্ধতি।"

শুক্রবার বিকেলে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যুব বিভাগের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৯৮২ সালে কেয়ারটেকার সরকারের ফরমুলা দিয়েছিলো। সেই কেয়ারটেকার ফরমুলার ভিত্তিতে বাংলাদেশের রাজনীতি সুষ্ঠুতার দিকে এগিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু সেই কেয়ারটেকার সরকার বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ এটাকে গলা টিপে হত্যা করেছে। সুতরাং এখন ওই পুরাতন সিস্টেম দিয়ে কাজ হবে না। নতুন সিস্টেম নিয়ে আসতে হবে। সেটি হবে পিআর সিস্টেম। বাংলাদেশে শুধু বিএনপি ছাড়া সকল দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। বিএনপি পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। এরা চাঁদাবাজ, এরা লুটতরাজ। এরা নিজেদের কর্মীদের নিজেরা পাথর দিয়ে থেতলে করে হত্যা করেছে। যারা এই ধরনের রাজনীতি করে, তারা জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে না, দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করে না। তারা করে নিজেদের স্বার্থের রাজনীতি, পেটের রাজনীতি। যারা পেটের রাজনীতি করে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে সামনে আমরা এমন একটি জাতীয় নির্বাচন চাই, যেই নির্বাচনে একটি ভোটও নষ্ট হবে না। সকল ভোটের মূল্যায়ন হবে। সামনের দিনে জাতীয় সংসদ হবে ইসলামী সংসদ, কোরআনের সংসদ। আর ইসলাম কায়েমের মধ্য দিয়ে এদেশের ৯২% মানুষের মতাদর্শ এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের জন্যও একটি উপকারী আদর্শ ইসলাম কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।"

এসময় বগুড়া-২ শিবগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি ও বর্তমান জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান, বগুড়া জেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি এম এ আবু হানিফ রানা, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসেন, জামায়াত নেতা এডভোকেট শাকিল উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সাজেদুর রহমান জুয়েল, জাকির হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।