Image description

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বালুকাপাড়া গ্রামে আবদুল জলিল প্রামাণিক নামে এক দিনমজুরকে ‘তিন তালাক’ দেওয়ার পর একই নারীকে পুনরায় বিয়ে করার কারণে সমাজচ্যুত করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নালিশ করায় তাকে মারধর করে বাঁ হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে। জলিল গত মঙ্গলবার এ ঘটনায় আক্কেলপুর থানায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

জলিলের বক্তব্য, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের জেরে তিনি মৌখিকভাবে স্ত্রীকে তালাক দেন এবং ২৯ দিন পর তাকে পুনরায় বিয়ে করেন। এরপর গ্রামের মাতব্বররা তাকে সমাজচ্যুত ঘোষণা করে। ফলে প্রায় দেড় বছর তাকে গ্রামের মসজিদে নামাজ, জানাজা বা সামাজিক কাজে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি এবং দিনমজুরি করতেও বাধা দেওয়া হয়। জলিল ইউএনওর কাছে নালিশ করলে তিনি রায়কালী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ মণ্ডলকে সমাধানের দায়িত্ব দেন। তবে বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। এর জেরে ১৫ আগস্ট রাতে মসজিদে যাওয়ার পথে মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, সুফিয়ানসহ ১০-১২ জন তাকে মারধর করে বাঁ হাত ভেঙে দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন ও দোকানি হাফিজার রহমান নিশ্চিত করেছেন, জলিলকে দেড় বছর ধরে সমাজচ্যুত করে রাখা হয়েছে। মামলার দুই নম্বর আসামি মিল্টন খাঁ মুঠোফোনে বলেন, জলিল ‘সমাজবিরোধী কাজ’ করায় তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ মণ্ডল জানান, তিনি ইউএনওর নির্দেশে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন, কিন্তু সমাধান করতে পারেননি। তিনি মারধরের ঘটনা ও জলিলের হাত ভাঙার বিষয়টি জানেন।

আক্কেলপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জলিলের অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।