
খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির (ওএমএস) পরিবেশক (ডিলার) নিয়োগের প্রার্থী তালিকায় আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের রাখার অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ডিলার নিয়োগের জন্য উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠানে তাঁরা হট্টগোলের পর অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে যান।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমারখালী আবুল হোসেন তরুণ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোছা. ফাতেমাতুজ জোহরা, উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছে। তালিকায় তাঁদের নাম দেখার পর অনুষ্ঠান বর্জন করে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতারা চলে যান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে লটারি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার।
এ বিষয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া কমিটির সভাপতি কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ‘আমি আরেকটি সরকারি কাজে বাইরে ছিলাম। তবে কিছু অভিযোগ ওঠায় আজকের নিয়োগপ্রক্রিয়া অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।’
এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন কারণে ডিলার নিয়োগ না হওয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ উপজেলার অন্তত ১৪ হাজার ৯৯৭ জন। অন্যান্য উপজেলায় ১৭ আগস্ট থেকে প্রতি কেজি ১৫ টাকায় ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কুমারখালী উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৩৩টি, একটি পৌরসভায় ৬টিসহ মোট ৩৯টি পয়েন্টে ডিলার নিয়োগ হবে। সেই লক্ষ্যে আজ বেলা ১১টায় স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ মিলনায়তনে ডিলার নিয়োগের জন্য উন্মুক্ত লটারির আয়োজন করা হয়। তবে লটারির কার্যক্রম শুরুর আগেই হট্টগোল শুরু করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা দফায় দফায় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোছা. ফাতেমা তুজ জহুরা বলেন, কয়েক দফা যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এরপর চূড়ান্ত তালিকা টাঙানো হয়। তারপরও মনগড়া অভিযোগ তুলে হট্টগোল করেছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, তালিকায় কিছু নাম নিয়ে অভিযোগ করছেন কেউ কেউ। সে জন্য লটারি স্থগিত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
Comments