
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ জন কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের সন্ধান মিলেছে।
দুদকের তথ্যমতে, এই কর্মকর্তারা নিজেদের নামে বা অন্য কারও মাধ্যমে বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, কমিশন তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছে এমন কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন: মো. লুৎফুল আজিম (এনবিআর সদস্য), এ কে এম বদিউল আলম (সদস্য, আয়কর নীতি), মো. আলমগীর হোসেন (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, সিআইসি), মো. তারিক হাসান (যুগ্ম কমিশনার),
সাধন কুমার কুন্ডু (অতিরিক্ত কমিশনার), কাজী মো. জিয়া উদ্দিন (কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার), মো. কামরুজ্জামান (রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার), আব্দুর রশিদ মিয়া (বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার)।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৯ জুন দুদক ৬ জন এবং পরে আরও ১০ জন এনবিআর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায়। সম্প্রতি, এনবিআর সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত ১৮ আগস্ট এনবিআরের শীর্ষ ৯ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই আন্দোলনটি এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে শুরু হয়েছিল।
Comments