Image description

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান মানলে অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। সংবিধানে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। প্রকৃত অসাম্প্রদায়িকতা মেনে চললে দেশে কোনো হানাহানি থাকবে না। আমি ‘সংখ্যালঘু’ শব্দ মানি না। সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি হিসেবে সবার অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

শনিবার (১৬ আগস্ট ২০২৫) বিকালে চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে ধর্ম সম্মেলন ও সাধু সন্ত ঋষি বৈষ্ণব মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি জাতি, একটি দেশ, একটি সমাজ। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারা বারবার ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু আবার নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করেছে। তবে এদেশের সাধারণ মানুষ সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করে। আজকের বাংলাদেশে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। মানুষের মধ্যে অনেক দাবি ও প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছে।”

নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে কোনো বিভাজন করা যাবে না। সবাই তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করবে। এটি গণতন্ত্রের সঙ্গে কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয়। জাতি ও রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাদের সহনশীল হতে হবে। ধর্ম ও রাজনৈতিক মতভেদ ভিন্ন হলেও দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিএনপি কোনো বিভাজনের রাজনীতি করে না। সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষকে নিয়ে বিএনপি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।”

অনুষ্ঠানে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করেন বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সচিদানন্দ পুরি মহারাজ। সভাপতিত্ব করেন শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন আর কে দাশ রুপু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, পাচুরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ রবীশ্বরানন্দ পুরী, ভোলানন্দ গিরি মন্দিরের অধ্যক্ষ উমেশানন্দ গিরি, শ্রীমৎ সনাতন ঋষি, বিদহানন্দ, রামানন্দ পুরি, অজপানন্দ পুরি, পরিতোষানন্দ গিরি, রাজীব ধর তমাল, শ্রদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারী, শিবানন্দ গিরি, মহাব্রতনন্দ, রুদ্রাষানন্দ পুরি, যোগানন্দ ব্রহ্মচারী, স্বামী অরুণানন্দ, বাবলানন্দ ও প্রেমময় আনন্দ ব্রহ্মচারী।