আ'লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে আনন্দ মোহন কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি

আনন্দ মোহন কলেজের সদ্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানকৃত অধ্যাপক মো. সাকির হোসেনের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। অধ্যক্ষকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় অধ্যক্ষ নিজ রুম থেকে বেরিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা কক্ষে তালা ঝুলিয়ে নানা স্লোগান দেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে সদ্য যোগদানকৃত অধ্যাপক মো. সাকির হোসেন তিনি আওয়ামী লীগের দোসর। তাঁর ছোট ভাই রাকিব হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাগর হত্যা মামলার আসামীও তিনি। তাই অধ্যক্ষের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহন হোসেন বলেন, কলেজে আমরা কোন ফ্যাসিস্টকে দেখতে চাই না। সাবেক অধ্যক্ষ আমান উল্লাহর বদলি হওয়ার পর তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপান। তাঁর অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
আরেক শিক্ষার্থী অনিক আহমেদ তকি বলেন, জুলাই-আগস্টের উসকানিদাতা সাগর হত্যা মামলার আসামীর ভাই সাকির স্যারকে এই ক্যাম্পাসে আমরা চাই না। ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর একটাই দাবি তার অপসারণ। এই চেয়ার সাকির স্যার জন্য নয়। তাঁর অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন ও তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছি। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে আমরা দাবিত হব।
আনন্দ মোহন কলেজের ভারপপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.সাকির হোসেন বলেন, আমি আওয়ামী লীগের দোসর নই। আমি কি আপনারা সকলেই অবগত রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা তারা তাদের সুবিধার জন্য আমাকে চাপপ্রয়োগ করছে। আমরা ভাই সাগর হত্যা মামলার আসামী হলেও এর দায়ভার আমার নয়। আমার নামাজে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীরা কক্ষে তালা দিয়েছে। তাদের বুঝানোর জন্য শিক্ষক প্রতিনিধিরা কাজ করছে। আশা করছি সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
গত ৩ আগস্ট আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক মো. সাকির হোসেন দায়িত্বগ্রহণ করেন। এর আগে গত ৩ জুলাই উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সাকির উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
Comments