
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে আলোচনা সত্ত্বেও কোনো সমাধান না হওয়ায় আন্দোলনকারীরা ব্লকেড কর্মসূচি ও গণঅনশনের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. মো. আবু জাফর হাসপাতালের গেটে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পানি ও জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা জানান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরিশালে উপস্থিত না হলে তারা অনশন ভাঙবেন না।
এর আগে দুপুরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মিলনায়তনে মহাপরিচালক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা উপস্থিত থাকলেও স্বাস্থ্য সেবা সংস্কার আন্দোলনের কোনো প্রতিনিধি যোগ দেননি। মহাপরিচালক বলেন, “চিকিৎসক নিয়োগের জন্য আমরা কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আন্দোলন যেন কারো দুর্ভোগের কারণ না হয়, সেটি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।”
আন্দোলনের অন্যতম নেতা মহিউদ্দিন রনি জানান, আলোচনায় তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যের ডিজির ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি আমাদের দাবি পূরণে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। সমাধানের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বরিশালে আসতে হবে।” তিনি বরিশালে চলমান ব্লকেড কর্মসূচির পাশাপাশি গণঅনশনের ঘোষণা দেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এটিএম সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আবু হোসেন মোহাম্মদ মইনুল আহসান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বরিশাল নগরীর নতুল্লাবাদ এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থী-জনতার সঙ্গে একটি পক্ষের হাতাহাতির ঘটনায় ৮ জন আহত হন। আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Comments