Image description

সকল রাজনৈতিক সংগঠনের ‘সমর্থন’ পাওয়ার পরেও অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ‘দুর্বলতম’ সরকারের পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

বুধবার বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের এক আয়োজনে তার এই মন্তব্যের ব্যাখ্যায় নুর বলেন, “আমরা ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের ঘটনার দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই অনুমতি কিংবা ইজারা ছাড়াই পাথর নিতে নিতে সে জায়গাকে মরুভূমি বানিয়ে দিছে।

“ওইখানে আমাদের আর্মি, পুলিশ, র‍্যাব ও আমাদের দেশ পরিবর্তনের নায়কেরাও এই সর্বনাশের প্রতিবাদ করেন নাই। কিন্তু যখন কাজ শেষ, তখন তারা আওয়াজ তুলছেন।”

অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র প্রতিনিধিদের প্রসঙ্গ টেনে অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ডাকসুর এ সাবেক ভিপি বলেন, “একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার ইশতেহার থেকে শুরু করে পতাকা উত্তোলনসহ পল্টন ময়দানে ছাত্র নেতৃবৃন্দরাই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন। একাত্তরের পরে তারা কিন্তু রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে নাই কিংবা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করতেও চাননি।

“আবার সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ফলে সামরিক স্বৈরশাসনের পতনের পরেও ছাত্ররা সরকারে আসে নাই। এবার আমরাই পরামর্শ দিয়েছিলাম যে তরুণদের একটা প্রতিনিধিত্ব সরকারে থাকুক, যেন তারা আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারে।” কিন্তু এক বছরে এসে হিসাব মেলাতে পারছেন না মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখেনি।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের নেতৃত্ব নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, “অ্যানালগ নেতাদের দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব না, ডিজিটাল দেশ পরিচালনা করতে হলে তরুণদের প্রয়োজন। যারা ফেইসবুক লগইন করতে তিনবার পাসওয়ার্ড ভুল করে; তাদের দিয়ে ডিজিটাল দেশ পরিচালনা সম্ভব না।”