Image description

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয় এবং ব্যয়ের হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিএনপিকে ছাড়িয়ে গেছে। জামায়াতের আয় বিএনপির আয়ের দ্বিগুণেরও বেশি, আর ব্যয় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুসারে, গত এক বছরে জামায়াতে ইসলামীর আয় ছিল ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা। এর বিপরীতে, বিএনপি জানিয়েছে তাদের আয় ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। অর্থাৎ, জামায়াতের আয় বিএনপির আয়ের প্রায় দ্বিগুণ।

ব্যয়ের ক্ষেত্রে পার্থক্য আরও বেশি লক্ষণীয়। জামায়াত গত বছরে মোট ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা ব্যয় দেখিয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপির ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। এই হিসাবে, জামায়াতের ব্যয় বিএনপির ব্যয়ের প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।

আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে জামায়াত তাদের কর্মী ও সদস্যদের চাঁদা (১৬.৫৬ কোটি টাকা) এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার অনুদান (১১.৮৬ কোটি টাকা) উল্লেখ করেছে। ব্যয়ের বড় অংশ গেছে কর্মীদের বেতন-ভাতা (৬.৫৭ কোটি টাকা) এবং প্রার্থীদের অনুদান (১১.০৫ কোটি টাকা) বাবদ।

অন্যদিকে, বিএনপির আয়ের উৎস ছিল সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই বিক্রি, ব্যাংক সুদ এবং এককালীন অনুদান। তাদের ব্যয়ের বড় অংশ ছিল কর্মসূচি বাস্তবায়ন, পোস্টার-লিফলেট মুদ্রণ এবং ব্যক্তিগত ও দুর্যোগকালীন সহায়তা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিলের পর দীর্ঘ এক যুগ পর জামায়াত তাদের আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিল। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নিবন্ধিত দলগুলোর জন্য প্রতি বছর জুলাই মাসের মধ্যে পূর্ববর্তী বছরের আর্থিক লেনদেনের হিসাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।