নিয়মের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বাল্কহেজ ড্রেজারে তোলা হচ্ছে বালু

নিয়মের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে ৩টি বাল্কহেজ ড্রেজারে বালু তোলা হচ্ছে কুড়িগ্রামের মাদারগঞ্জ বাজারের গঙ্গাধর নদী থেকে। নব-নির্মিত বোল্ডার বাঁধের উপর দিয়ে বালু উত্তোলন। ফলে হুমকির মুখে নব-নির্মিত নদীর বাঁধ ও ভাঙছে বসতভিটা। অভিযোগ এর সাথে জড়িত প্রভাবশালী মহল।
অন্যদিকে মাদারগঞ্জের লঘুরভিটা প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন গঙ্গাধর নদীর ভাঙন রোধে চলছে ১০হাজার জিও ব্যাগের কাজ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, নাগেশ্বরীর কচাকাটা থানার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বোল্ডার বাঁধের উপরে দীর্ঘদিন থেকে ড্রেজার দিয়ে গঙ্গাধর নদী থেকে তোলা হচ্ছে বালু। বাল্কহেজ ড্রেজার দিয়ে নেয়া হচ্ছে মাদারগঞ্জ বাজারের দক্ষিনে ২টি ও উত্তরে ১টি মেহেদী হাসান, ভাই ভাই ও বিসমিল্লাহ-২ নামে ৩টি বাল্কহেজ ড্রেজারে বালু উত্তোলন করছেন একটি বড় চক্র এবং চলছে বালু বিক্রির মহোৎসব।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ৩টি বাল্কহেজ ড্রেজার দিয়ে প্রতিনিয়ত বালু তোলার কারণে ভাঙছে, বসতভিটা, আবাদি জমি ও নদীর তীর। অনেকে বাধা দিলেও প্রভাবশালী ছত্রছায়ায় চলছে অবৈধ বালুর ব্যবসা।
অন্যদিকে মাদারগঞ্জ সংলগ্ন রামদত্ত, মাঝিপাড়া গ্রামে গত ১মাসে গঙ্গাধর নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার। এরই প্রেক্ষিতে মাদারগঞ্জ লঘুরভিটা প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন গঙ্গাধর নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলছে ১০ হাজার জিও ব্যাগের ৭০মিটার বাঁধের কাজ।
বল্লভেরখাস ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল ও দাফাদার নছিম উদ্দীন, কাসেম আলী, মাহাতাব আলী, ইউনুস আলী বলেন, গঙ্গাধর নদীর ভাঙন বৃদ্ধি ও ক্ষতি করেছে বালু তোলা ৩টি বাল্কহেজ ড্রেজার। বালুতোলা বন্ধের জন্য অনেক নিষেধ করা হলেও তারা কোন কথা শুনেন না। নদী থেকে বালু তুলতেছে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। গঙ্গাধর নদীর ভাঙন বাড়ছে ও নদীর শ্রোতও বাড়ছে। বালু তোলার কারণে ভাঙছে বসতভিটা, আবাদি জমি ও নদীর তীর। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, শুনেছি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রেজারগুলো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments