সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বাকেরগঞ্জে মানববন্ধন

সাংবাদিক তুহিন ও আনোয়ার হোসেন সৌরভ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে বরিশালের বাকেরগঞ্জে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে গত ১০ জুলাই, রবিবার, সকাল ১১টায় বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি আতাউর রহমান রোমান। বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাব ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি ইমরান খান (সালাম), দৈনিক মহাকাল সম্পাদক আহমেদ কাওছার ক্ষৌণিশ, দৈনিক জনকণ্ঠের জিয়াউল হক, দৈনিক ইত্তেফাকের গোলাম মোস্তফা এবং দৈনিক যায়যায়দিনের তুহিন সিকদার।
আতাউর রহমান রোমান বলেন, “সাংবাদিকরা কখনোই নিরাপদ ছিলেন না, এখনো নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে এমন নারকীয় হত্যাকাণ্ড নজিরবিহীন। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।”
ইমরান খান বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমরা সুস্থ সাংবাদিকতার স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু এখন তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। সাংবাদিক হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের অতীতের তিক্ততা ভুলে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় মনোযোগী হওয়া উচিত।”
আহমেদ কাওছার ক্ষৌণিশ বলেন, “বিচারের জন্য কেন আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে হবে? এটি প্রমাণ করে আমরা বিচারহীনতায় ভুগছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।”
জিয়াউল হক ও গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “অবিলম্বে ‘সাংবাদিক সুরক্ষা’ আইন প্রণয়ন করতে হবে। নইলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।” জিয়াউল হক আরও বলেন, “এভাবে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চলতে থাকলে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে টিকে থাকতে পারবে না। এতে শুধু সাংবাদিকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, রাষ্ট্র ও জনগণের জন্যও ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হবে।”
Comments