Image description

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইআর) প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহানের বিরুদ্ধে নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, সিনিয়র শিক্ষার্থীদের জেরার মুখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হন।

জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই আইইআর-এর একটি শ্রেণিকক্ষে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলা নিয়ে আলোচনার জন্য ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। এসময় তারা 'ম্যানার' নিয়ে কথা বলেন এবং এক নারী শিক্ষার্থীকে সিনিয়র এক নারী শিক্ষার্থীকে না চেনার কারণে জেরা করা হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বলেন, সেদিন দুপুরে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসে আসেন। এর আগে সকালে একজন সিনিয়র আপুর সঙ্গে তার দেখা হলেও তিনি তাকে চিনতে পারেননি। ক্লাসে এসে ওই আপু তাকে দাঁড় করিয়ে কেন চিনতে পারেননি তা জানতে চান। এসময় কয়েকজন সিনিয়র জোরে জোরে বলতে থাকেন, 'চিনো না কেনো? নাম জানো না কেনো?' এসব কথা শুনে তিনি ভয় পেয়ে যান এবং প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হন।

তবে ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, ওই শিক্ষার্থী আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন এবং মাঝেমধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যান। ঘটনার দিন তিনি অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে সুস্থ হলে তাকে সবাই 'সরি' বলেন।

এদিকে, বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহান ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এবং ভুক্তভোগীদের নোটিশ দিয়ে ডাকেন, কিন্তু কোনো সুরাহা করতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দেওয়ার কথা বলা হলেও তিনি কোনো গুরুত্ব দেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি বলে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা জানান।

এ বিষয়ে পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর দায়িত্ব বিভাগের। প্রক্টরিয়াল বডিতে আইইআর থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। তিনি সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খবরটি জানার পর বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।