Image description

দৈনিক নয়া শতাব্দি ও দ্যা ডেইলী পোস্ট সংবাদপত্রের পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এবং মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির প্রচার সম্পাদক মোঃ সিয়াম রহমান হিমেল (২৫) এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

এ ব্যাপারে সিয়াম রহমান হিমেল বাদী হয়ে থানায় মোট ০৭ জনকে এজাহারনামীয় এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত বিবাদী করে এজাহার দায়ের করলে, মির্জাগঞ্জ থানার পেনাল কোডে রুজু করা হয়।

আসামিরা হলেন, মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য বদোরুদ্দৌজা জনি মুন্সি, মির্জাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস হাসান সৌরভ মুন্সি ও তাঁর ভাই জাহিদ হাসান পরাগ মুন্সি।

সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা অনুমানিক ০৬.৩০ টার সময় বাদী মোঃ সিয়াম রহমান হিমেল (২৫)’কে পূর্ব বিরোধের জের ধরে কতিপয় ব্যক্তি মারধর করে। হিমেলকে রক্ষা করতে কয়েকজন এগিয়ে গেলে বিবাদীরা তাদেরকেও মারধর করে মোট ৫ জনকে গুরুতর ও সাধারণ বিভিন্ন মাত্রার জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিছু সন্ত্রাসী হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পুনরায় হামলা করার জন্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একত্রিত হয়। 

গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম এবং মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করার জন্য মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়। উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় জাহিদ হাসান পরাগ মুন্সি নামক একজন সন্ত্রাসীকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয় এবং বাকি সন্ত্রাসী সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

সেনাবাহিনী,পুলিশ এবং এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত এজাহারনামীয় ২নং আসামি সৌরভ মুন্সি (৩৫) এবং ০৩ নং আসামি মোঃ জনি মুন্সি (৩৬) কে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ টিম রাতেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

মির্জাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম জুয়েল ৩ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, জড়িত অপর আসামীদেরকেও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে।