
নতুন নকশার নোট বাজারে আসার দুই মাস পরও দেশের এটিএম বা সিআরএম মেশিনগুলোতে তা এখনো শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ফলে ১ জুন থেকে চালু হওয়া ১০০০, ৫০, এবং ২০ টাকার নতুন নোট ব্যবহার করে গ্রাহকরা এটিএম বুথ থেকে টাকা জমা দেওয়া বা উত্তোলন করতে পারছেন না। একই ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে মেট্রোরেলের টিকিট মেশিনেও।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতে, এই সমস্যা সমাধানের জন্য সফটওয়্যার আপডেটের কাজ চলছে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং প্রধান বলেন, নোটের নকশা সম্পূর্ণ নতুন হওয়ায় সফটওয়্যার আপডেট করতে সময় লাগছে, যা সাধারণত তিন মাস পর্যন্ত সময় নেয়। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের হঠাৎ করে নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্তকে এই সমস্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কারণ ব্যাংকগুলো প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় পায়নি।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ আলম পাটোয়ারি জানিয়েছেন, তাদের সফটওয়্যার আপডেট শেষ হয়েছে এবং বর্তমানে ১০টি বুথে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। তিনি আশা করছেন, আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে সব বুথে নতুন নোট শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যাংকগুলোকে দ্রুত আপডেট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি মনে করেন, সমস্যা এখন সমাধান হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, দেশের বেশিরভাগ এটিএম বুথ ডাচ্-বাংলার, আর তারা এটিএম তুলে সিআরএম বসাচ্ছে বলে সময় লাগছে। তিনি স্বীকার করেন যে, বিদেশি ভেন্ডরদের কারণে ব্যাংকগুলো চাইলেই সব কাজ দ্রুত শেষ করতে পারছে না।
জানা যায়, গত কোরবানি ঈদের আগে ৬০০ কোটি এবং পরে আরও প্রায় ১০০০ কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে, যা বুথগুলো প্রস্তুত না থাকায় কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
Comments