Image description

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহীন আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ পত্রে জোর করে স্বাক্ষর নিলেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির মূল ফটকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধের মাধ্যমে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে তাকে জোর করে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শাহীন আক্তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে নিম্নমানের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন। এছাড়া অফিস সহায়ক আমিনুল ইসলামকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে হিসাব শাখার দায়িত্ব দেওয়াসহ শিক্ষক কোয়ার্টারে তার বসবাস নিয়েও উঠে প্রশ্ন। গত সপ্তাহে শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর ইউএনও’র নির্দেশে বিতরণ করা নিম্নমানের উপকরণ ফেরত নিয়ে মানসম্মত উপকরণ বিতরণ করা হয়।

তারপরও বোববার শিক্ষার্থীরা বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে অধ্যক্ষ শাহীন আক্তারের কক্ষে গিয়ে তাকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেন। এক পযার্য়ে তাকে জোর করে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে হিসাব শাখার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন অফিস সহায়ক আমিনুল ইসলাম।

পদত্যাগপত্রে শাহীন আক্তার লেখেন, ‘আমি শাহীন আক্তার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি।’

এ বিষয়ে  শাহীন আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তারা রাজি হয়নি। তারা অফিসের গোপন নথিপত্র চেয়েছিল। যা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে আমি পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করি।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা বলেন, নিয়োগে অনিয়ম এবং নিম্নমানের উপকরণ বিতরণের অভিযোগ ছিল। এসবের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন বলেও শুনেছি।