
বিয়ের আগে পাত্রীর সঙ্গে একান্তে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন যুবক। দেখা হয় রেস্তোরাঁয়। কথাবার্তার মাঝখানে পাত্রীর দেওয়া এক কাপ চা পান করেছিলেন পাত্র। এরপরই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। জ্ঞান ফেরার পর দেখেন, সঙ্গে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ উধাও।
ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুর এলাকার। এরপর থানায় অভিযোগ করেছেন ওই যুবক সুদীপ বসু। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার জেরে জিয়া সিং নামের ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, একটি ঘটকালির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জিয়ার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সুদীপের। এরপর গত ১ জুলাই নিউ ব্যারাকপুরের একটি রেস্তোরাঁয় তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সেখানেই জিয়া তাকে চা পান করান। চা পান করার পরেই জ্ঞান হারান সুদীপ।
জ্ঞান ফেরার পর দেখেন, তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ চুরি গেছে। পরে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ঘটনার তদন্তে নামে ভারতের এয়ারপোর্ট থানা। তদন্তে উঠে আসে, চুরি হওয়া মোবাইলটি জিয়া বিক্রি করেছেন এক বাংলাদেশি নাগরিককে। এরপর ওই যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাজশাহীর যুবক হাসানকে গ্রেপ্তার করে কলকাতার দমদম এলাকা থেকে।
পুলিশ জানায়, ৪০ বছর বয়সী মহামদ্দুল হাসান মূলত চুরি হওয়া মোবাইল পাচারের সঙ্গে জড়িত। জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন, জিয়ার কাছ থেকে অন্তত ১০টি মোবাইল কিনেছেন তিনি, যেগুলো পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করেন।
Comments