Image description

টাঙ্গাইলে এক মৎস্য খামারির কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপির পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার ভোরে টাঙ্গাইল পৌরসভার সন্তোষ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার সকালে মৎস্য খামারি আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন। অন্যদিকে, এ ঘটনাকে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' বলে দাবি করেছে বিএনপি।

পুলিশ ও অভিযোগকারী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আজহারুলের কর্মচারীর কাছে চাঁদার একটি চিঠি দিয়ে যান। চিঠিটি 'কিলার গ্রুপ, হত্যাকারী দল'-এর প্যাডে লেখা ছিল, যেখানে স্লোগান হিসেবে 'চাঁদা দে, নইলে জীবন দে' লেখা ছিল। এতে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয়, চাঁদা না দিলে তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে।

চিঠিতে আজহারুলকে ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনের একটি গাছের নিচে টাকা রেখে যেতে বলা হয়। এ বিষয়ে প্রশাসন বা পুলিশকে কিছু না জানানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়। গতকাল চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির মিয়া আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির এই পাঁচ নেতা-কর্মীর গ্রেপ্তারকে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' হিসেবে দেখছেন টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে এলাকায় কোনো বদনাম নেই।