
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল বিজয়ী। তিনি অর্থনীতিবিদ, কিন্তু অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী না। তিনি ও তার গ্রামীণ ব্যাংক দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রেখেছেন, জয়েন্টলি তিনি নোবেল পেয়েছেন। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সরকারপ্রধান দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গোপালগঞ্জের এই যে পাঁচজন মারা গিয়েছে, হোক সে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ— কিন্তু এ রকম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু আমরা কামনা করি না।
সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টক শোতে নুরুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ চাইবে উসকানি দিয়ে ড. ইউনূসের ইমেজ ক্ষুণ্ণ করতে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে। সে ক্ষেত্রে সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংস্কারের পাশাপাশি মানুষ যে স্বস্তি চেয়েছিল, সেই স্বস্তিটাও আমরা এই জায়গায় দেখতে পাচ্ছি না।
নুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার শুরুর দিকে যে ঘোষণাটা ছিল ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে ইলেকশন, তিনি এটা ধারণা দিয়েছেন যে এর মধ্যে তিনি ইলেকশনটা করতে চান। তার পরে রাজনৈতিক দলগুলোর মনে হয়েছে এতে তারা সন্তুষ্ট না।
তারা বলছে, আপনার এই কথায় আমরা ভরসা রাখতে পারছি না। আপনি অন্তত একটা মাসকে স্পেসিফিক করেন। তারপর তিনি এপ্রিলে নির্বাচনের ডেট দিলেন। সবাই মনে করছে, না ঠিক আছে; তাহলে প্রধান উপদেষ্টা বা সরকারের মধ্যে আর কোনো অন্য চিন্তা নেই।
যে কারণে তারা তাদের ডেটের চেয়েও আগে ডেট দিয়েছেন।
নুর আরো বলেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে মিটিং করার পর সরকারের কাছ থেকে একটা ডেট এসেছে— যদি বিচার এবং সংস্কার এগিয়ে আনা যায়, তাহলে ফেব্রুয়ারিতেও নির্বাচন হতে পারে। একবার তিনি ডেট দিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে জুন। সেখান থেকে একটা ফিক্সড ডেট বলেছেন এপ্রিল। তার পরে আবার লন্ডনের বৈঠক মেষে বলেছেন ফেব্রুয়ারি।
এর ফলে মানুষের মধ্যে আরো কনফিউশন ক্রিয়েট হয়েছে যে এই ডিসেম্বর থেকে জুন, সেখান থেকে এপ্রিল, সেখান থেকে আবার ফেব্রুয়ারি। তার মানে এখানে ডালমে কুচ কালা হ্যায়। এ কারণে নির্বাচন নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
Comments