
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আসমাউল ইসলাম জায়রাকে নিতে এসে নিখোঁজ রয়েছেন তার মা লামিয়া ইসলাম সোনিয়া। পরে ফেসবুকে মা সোনিয়ার পোড়া এনআইডি কার্ড দেখে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্বজনরা। তারা সেই পোড়া আইডি কার্ড দেখিয়ে তার সন্ধান করছেন।
এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান একটি দোতলা ভবনে আছড়ে পড়ে।
পরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৭১ জনকে। যাদের বেশির ভাগই শিশু-কিশোর।
এদিন রাত পৌনে ৮টার দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে এনআইডি কার্ড হাতে নিখোঁজ সোনিয়াকে খুঁজছেন সাথী আক্তার নামে এক নারী। তিনি বলেন, ‘আমার খালাতো বোন আসমাউল ইসলাম জায়রা এই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের মতো আজও খালা লামিয়া ইসলাম সোনিয়া তার মেয়েকে নিতে স্কুলে আসেন। দুপুরে স্কুল ভবনে বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে খালাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজে বেড়াচ্ছি। কোথাও পাচ্ছি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিকেলে ফেসবুকের মাধ্যমে আমার খালার পোড়া এনআইডি কার্ডের একটি ছবি পাওয়া গেছে। সেখানে খালার নাম ও বাবার নাম দেখে নিশ্চিত হয়েছি এটা তার আইডি কার্ড।’
সাথী আক্তারের মতো অনেকেই আসছেন তাদের নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে। এমনই একজন সম্পা বেগম। তিনি আফিয়া উম্মে মরিয়ম নামে ৮ বছরের এক শিশুর স্কুল আইডি হাতে খোঁজাখুঁজি করছেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বোনের মেয়ে আফিয়া উম্মে মরিয়ম এই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। দুপুরে বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেছি। কোথাও তার সন্ধান মিলছে না।’
Comments