Image description

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি। সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন মো. জাকির হোসাইনের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানিতে তারা এই দাবি করেন। 

একইসঙ্গে আগামী ১১ আগস্ট সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। আগামী ধার্য তারিখে আসামিরা তাদের পক্ষে জবানবন্দি দেবেন।

শুনানিকালে ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তামিমা সুলতানা তাম্মি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৮ এপ্রিল নাসির-তামিমার মামলা শুনানিতে বিব্রত প্রকাশ করায় বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে বদলির নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় কেবিন ক্রু। ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন। রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী কন্যা মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

দণ্ডবিধির ৪৯৭,৫০০ এবং ৩৪ ধারায় মামলাটির আবেদন করা হয়। মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিন জনকে দোষী উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। পরের বছরে ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।